রাজশাহীতে দেশীয় ও অতিথি পাখি শিকার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের উদ্যোগে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পদ্মার তীরবর্তী টি-বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে রাজশাহীর বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেন। এর আগে পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়।
আয়োজকদের দাবি, শীত মৌসুমে পদ্মার চরসহ রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় পাখির পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক অতিথি পাখির আগমন ঘটে। কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি বিষটোপ ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে এসব পাখি হত্যা করছে। পরে সেই পাখির মাংস হাঁসের মাংস বলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে বিষাক্ত মাংস গ্রহণের ফলে মানুষ বার্ড-ফ্লুসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছে।
এসব অনিয়ম ও পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বলে জানান আয়োজকরা।
মানববন্ধন শেষে কাজীহাটায় অবস্থিত রাজশাহী মিশন হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে করণীয় শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বি কে দাম। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ।
কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডিন অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, রাজশাহী মিশন হাসপাতালের সিইও প্রদীপ চাঁদ মণ্ডল এবং বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মো. হাসান আকতার।
বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাখি খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্যজাল রক্ষা করে, ইঁদুর ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে কৃষি উৎপাদনে সহায়তা করে এবং পরিবেশের সূচক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ফুলের পরাগায়ন, উদ্ভিদের বীজ বিস্তার এবং মৃত প্রাণী ও আবর্জনা পরিষ্কারের মাধ্যমে পরিবেশকে সুস্থ রাখতে পাখির অবদান অপরিসীম।
বক্তারা আরও বলেন, পাখি প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি। এদের সংরক্ষণ করা শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। এ সময় সামাজিকভাবে পাখি শিকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফাহাদ ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রমজান আলী সরকার, আজীবন সদস্য ডা. মোঃ মনিরুল হক, জয়ন্ত কুমার সরকার, তহসিনুর রহমান রেজাসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা।
প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের উদ্যোগে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পদ্মার তীরবর্তী টি-বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে রাজশাহীর বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেন। এর আগে পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়।
আয়োজকদের দাবি, শীত মৌসুমে পদ্মার চরসহ রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় পাখির পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক অতিথি পাখির আগমন ঘটে। কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি বিষটোপ ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে এসব পাখি হত্যা করছে। পরে সেই পাখির মাংস হাঁসের মাংস বলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে বিষাক্ত মাংস গ্রহণের ফলে মানুষ বার্ড-ফ্লুসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছে।
এসব অনিয়ম ও পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বলে জানান আয়োজকরা।
মানববন্ধন শেষে কাজীহাটায় অবস্থিত রাজশাহী মিশন হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে করণীয় শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বি কে দাম। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ।
কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডিন অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, রাজশাহী মিশন হাসপাতালের সিইও প্রদীপ চাঁদ মণ্ডল এবং বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মো. হাসান আকতার।
বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাখি খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্যজাল রক্ষা করে, ইঁদুর ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে কৃষি উৎপাদনে সহায়তা করে এবং পরিবেশের সূচক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ফুলের পরাগায়ন, উদ্ভিদের বীজ বিস্তার এবং মৃত প্রাণী ও আবর্জনা পরিষ্কারের মাধ্যমে পরিবেশকে সুস্থ রাখতে পাখির অবদান অপরিসীম।
বক্তারা আরও বলেন, পাখি প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি। এদের সংরক্ষণ করা শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। এ সময় সামাজিকভাবে পাখি শিকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফাহাদ ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রমজান আলী সরকার, আজীবন সদস্য ডা. মোঃ মনিরুল হক, জয়ন্ত কুমার সরকার, তহসিনুর রহমান রেজাসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা।